Your one-stop destination to discover everything Indian that is happening on the Internet

Showing posts with label Bangla Golpo. Show all posts
Showing posts with label Bangla Golpo. Show all posts

রহস্যময়ী পুকুর

প্রায় বছর সাতেক আগের কথা। আমাদের এলাকার এক হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী সিদ্ধান্ত নিলো এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টার করবে। তাই তিনি বাজার থেকে অল্প দূরে একটি বড় দেখে জায়গা ক্রয় করলেন। জায়গা ক্রয়ের সাথে সাথে তিনি এর চারপাশে সাইড ওয়াল করে ফেলেন। কিন্তু জমি ক্রয় করতে অনেক অর্থ ব্যয় হওয়ার কারনে সিদ্ধান্ত নিলেন কমিউনিটি সেন্টার তৈরির কাজ আরো পরে শুরু করবেন।আপাততো পাহারা দেয়ার জন্য এক মহিলাকে তার পরিবার সহ সেখানে আশ্রয় দিলেন।পরিবারটি এসেছিলো ময়মনসিংহ থেকে আমাদের এলাকায় কাজের সন্ধানে। মহিলাটির স্বামী সহ দুটি কন্যা সন্তান ছিল।একটির বয়স সাত বছর আর অন্যটির বয়স পাঁচ বছরের মত হবে।মহিলাটির স্বামী রিক্সা চালাতো আর সে বাসা বাড়িতে কাজ করতো।সেখানে তাদের থাকার জন্য টিন সেটের একটি ঘর তৈরি করে দেয়া হয়।আর পাশে ছোট্ট করে একটি পুকুর খনন করা হয়েছে।পুকুর খননের পরে আশে পাশের বাড়ির অনেক মহিলা তখন ঐ পুকুরে গোসল করতে আসতো।কারন চারদিকে সাইড ওয়াল থাকার কারনে জায়গাটি লোকালয় থেক বিচ্ছিন্ন মনে হতো আর পুরুষের চলা চল কম ছিল।

Share:

ভূতুড়ে বাড়ি


ওমানের রাজধানী মাস্কাটে মোবেলা সুগা-আমিন নামক স্থানে সিগনালের পাশে একটি বিলাস বহুল বাড়ি আছে।আর স্থানীয় মানুষের কাছে বাড়িটি ভুতুড়ে বাড়ি হিসেবে পরিচিত।এই বাড়ি নিয়ে লোক মুখে নানা রকম কথা শুনা যায়।যেমন রাত্রি বেলায় কেও বাড়ির ভেতর ঘুমালে সকালে নাকি তাকে বাহিরে গেটের পাশে পাওয়া যায়।তাছাড়া বাড়িতে কোন লোক না থাকলে ও মাঝে মাঝে রাত্রি বেলায় ভেতর থেকে লাইট জ্বলতে দেখা যায়।

বাড়ি তৈরির পরে এর মালিক যেদিন থেকে পরিবার নিয়ে বাড়িতে উঠে ঠিক সেদিন থেকে ঘটতে থাকে একের পর এক অদ্ভুদ ঘটনা।প্রায় সময় গভীর রাতে হঠাত্‍ করে তাদের বাড়িতে কারেন্ট চলে যেত।কিন্তু তারা জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখত পুর এলাকায় কারেন্ট আছে অথচ তাদের বাড়িতে কারেন্ট নেই।প্রথম প্রথম তারা ভাবতো হয়তো তাদের বাড়ির সংযুক্ত বৈদ্যুতিক লাইনটি খারাপ হয়ে গেছে তাই এভাবে কারেন্টে সমস্যা করছে।এই জন্য তারা স্থানীয় বিদ্যুত্‍ অফিসে ফোন করে।কিন্তু অভাক কান্ড বিদ্যুত্‍ অফিসের কর্মীরা তাদের বাড়ির বৈদ্যুতিক লাইনে কোন ত্রুটি খুঁজে পায়নি।

Share:

জুজুর ঘটনা

বাংলাদেশের চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ১৫০ টিরও বেশী ।এত এত ঘটনা রয়েছে এসব চা বাগানকে কেন্দ্র করে যে বলে শেষ করা যাবে না ।যারা ঐসব চা বাগানে বাস করেন,তারা তো এসব ঘটনা জানেনই,যারা বিভিন্ন জেলা হতে চাবাগানে চাকুরীর সুবাদে যান,তারাও এসব ঘটনা শুনে থাকেন,অনেক অভিজ্ঞতাও হয় তাদের সাথে ।

বলা হয়ে থাকে যে,চা বাগানে চাকুরী করলে এসব ঘটনার সাথে এডজাষ্ট করে নিতে নাপারলে হয় আপনি পাগলহয়ে যাবেন,আর নয়তোআপনাকে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে চলে আসতে হবে ।এক চা বাগানে প্রায়ই রাতের বেলা একটা মেয়েকে চা পাতা তুলতে দেখা যায় ।

মেয়েটা অল্প বয়সী,খুবই সুন্দরী এবং মায়াবী চেহারার ।ঐ চা বাগানে যারা কাজ করে,তারা প্রায় সবাই মেয়েটাকে দেখে ।কিন্তু মেয়েটার কাছে যাওয়ার সাহস কারোরই হয় না ।চা বাগানে যারা পাহারা দেয়, তাদেরকে চৌকিদার বলে ।এক নতুন চৌকিদারের দায়িত্ব পড়লো ঐ চাবাগানে এক রাতে পাহারা দেয়ার জন্য ।গভীর রাতে টর্চের আলোয় চৌকিদার দেখলো,মেয়েটা চা পাতা তুলছে ।

Share:

লাশ

গ্রামের নাম রোহনপুর|ফিরোজ সেই গ্রাবমই বাস করে|নতুন বিয়ে হয়েছে|ভালই কাটছিল দিনকাল|একদিন হাট করে ফিরে আসার সময়,ফিরোজ গ্রামের রাস্তার পাশের তাল গাছের ওপর কিছুর নড়াচড়ার শব্দ শুনতে পায়,পাখি হবে ভেবে সে ব্যাপারটা কেয়ার করেনা|যখন সে বাড়ির ঠিক কাছাকাছি আসল,তখন সে বুঝতে পারলো যে তার ঘাড়টা বেশ ভারি মনে হচ্ছে|সে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমায় পরলো। হঠাৎ মাঝ রাতে তার ঘুম ভেঙে যায়|তার কিছুতেই ঘুম আসছিল না,সে হাতমুখ ধুয়ার জন্য বের হল,ঠিক তখনই সে দেখতে পেল একটি বিরাট বড় শকুন সাদা কাপড়ে মোরা কিছু নিয়ে পাশের বড়ই গাছে বসলো ।

কৌতুহল বসত সে দেখতে পেল শকুনটি জিনিসটা খাচ্ছে,পূর্ণিমার আলোয় বুঝতে পারল সেটি একটি লাশ|বুঝতে না বুঝতে শকুনটি লাশ খেয়ে তার মাথা নিচে ফেলল,মাথাটি দেখে চমকে উঠল,এতো পাশের বাড়ির খালেকের মাথা,সে ছুটে গেল খালেকের বাড়ি,ডাকতেই খালেক বের হল,খালেককে দেখে সে ভাফল তার ভুল হয়েছে|সে ঘুমিয়ে পড়ল|পরদিন সকালে ফিরোজের ঘুম ভাঙল কান্নার শব্দে.কাল রাতে খালেক ঘুমের মাঝে পারা গেছে|
এরপর সে গ্রামের সকলকে সব কথা বললেও কেউ বিশ্বাস করেনি|এরপর থেকে প্রতি রাতে ফিরোজ

Share:

একটি ভৌতিক ঘটনা!

আমদের বাড়ির পিছনে ছোট্ট একটি পুকুরে আছে।আর পুকুরের পাশে আছে মস্ত বড় এক আমগাছ।ঐ আমগাছে এক ভূত তার স্বপরিবার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছে।আর ঐ ভূতের বৌয়ের নাম শাকচূন্নী।অনেকের ধারনা সে আমাদের এলাকার জরিনা পাগলীর মৃত্য আত্মা।আর তাদের ঘরে সিংকু,টিংকু,ডিংকু.চিচিঙ্গা,বিচিঙ্গা ইত্যাদি নামের অনেক গুলো সন্তান আছে।মানব সমাজে যাদের একটি সন্তান তাদের কে সুখি পরিবার বলা হয়।কিন্তু ভূত সমাজে যাদের বেশি সন্তান তাদের কে সুখি পরিবার বলা হয়।কারন ভূত সমাজে পরিবার পরিকল্পনা বলতে কিছু নেই।পরিবার পরিকল্পনা নাকি ভূত সমাজের অস্তিত্ব জন্য হুমকি।কিছুদিন আগে ভূতশুমারি রিপোট অনুযায়ী বাংলাদেশে ভূতের সংখ্যা নাকি ব্যপক হ্রাস পেয়েছে।তাছাড়া অনেক মৃত্য ব্যক্তির আত্মা এখন আর নিজেক ভূত হিসেবে পরিচয় দিতে চাচ্ছেনা।

এবার আসল ঘটনায় আসা যাক।তখন ছিলো শরত্‍কাল।একদিন ভর দুপুরে আমি বাড়ির পিছনে পুকুরে একা একা গোসল করতে যাই।সেদিন আশেপাশে আর কেউ ছিলনা।চারপাশে শুধু সুনসান নিরবতা।এমন সময় লক্ষ্য করি আমার থেকে একটু দূরে এক যুবক সাদা পোশাক পড়ে দাড়িয়ে আছে।

Share:

শব্দ

ঘটনাটি ১৯৯৫ সালের হেমন্তের মাঝামাঝি, আমার স্যারের নাম আতিক। তিনি ছিলেন আমার অংক শিক্ষক (এখন একটি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে আছেন)। স্যারের দেশের বাড়ি চাঁদপুরে। ঘটনাটি যখন ঘটে স্যার
তখন ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্র। স্যার ৪র্থ শ্রেণীর এক ছাত্র পড়াতেন গ্রাম থেকে দেঢ় মাইল দূরে কাশিমপুর গ্রামে গিয়ে। বেতন বেশি হওয়ায় স্যার সকল কষ্ট উপেক্ষা করে নিয়মিত সাইকেল চালিয়ে পড়াতে যেতেন।
রোজ বিকেলে স্যার সাইকেল চালিয়ে কাশিমপুর যেতেন আবার সন্ধ্যা হওয়ার আগেই ফিরে আসতেন নিজ গ্রামে। আমার স্যারের গ্রাম এবং কাশিমপুর গ্রামের মাঝে প্রায় এক মাইলের ফাঁকা ধানের মাঠ রয়েছে। দিনের বেলা কৃষকে পরিপূর্ণ থাকলেও রাতের বেলা একদম ফাঁকা থাকে। এই এক মাইলের মধ্যে কোন বসত বাড়ি নেই, শুধু আঁধা পাকা রাস্তাটা এঁকে বেঁকে চলে গে সেদিন ছিল মঙ্গলবার, স্যার একটা বিশেষ কাজে আটকে যাওয়ায় সন্ধ্যা বেলা কাশিমপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। সাইকেলটা সমস্যা হওযায়, রিক্সায় করে চললেন। আকাশের অবস্থ্যা খারাপ। থেমে থেমে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, মনে হচ্ছে বৃষ্টি নামবে। এই আবহাওয়ায় না বের হলেই ভাল হতো কিন্তু উপায় নেই। কাল স্টুডেন্ট- এর অংক পরীক্ষা, আজ না গেলে খুব ক্ষতি হয়ে যাবে। অবশ্য ভোর বেলা যাওয়া যেতো কিন্তু কাল ভোরের গাড়িতে স্যারকে জরুরী ঢাকায় আসতে হবে। কাশিমপুরের কাছে যেতেই মুষলধারায় বড় বড় ফোটা আকারে বৃষ্টি শুরু হলো। কোন রকম ছাত্রের বাসায় উঠে নিজেকে রক্ষা করলেন স্যার। স্যারের একটা অভ্যাস হলো যখন তিনি অংক করান তখন আর ঘড়ির দিকে তাকান না। তেমনি অংক করাতে করাতে ঘড়িতে দশটা বেজে গেল। অবশ্য বাইরে যে ঝড় শুরু হয়েছে তাতে ঘড়ি দেখেও লাভ নেই স্যারের।

Share:

ঈদের ছুটি


ঘটনাটি ২০০৪ সালের। তখনকার ঈদের ছুটি কাটাতে আমি আমার ফ্যামিলি সহ নানুর বাড়িতে বেড়াতে যাই। ঈদের দিন মামার সাথে সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরছিলাম। রাত আনুমানিক ১১:৩০। মামার নোকিয়া ক্লাসিক ১১০০ সেট এর টর্চ দিয়ে আমরা বাড়ি ফিরছিলাম।

তো হঠাৎ মামার মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে গেল। এখানে বলে রাখছি, যে আমারদের বাড়িতে যেতে হলে বিশাল একটা মাঠ পার হয়ে যেতে হয়। মাঠের পাশেই বিশাল খাল। তো রাস্তা দিয়ে যেতে হলে মাঠ ঘুরে যেতে হয়। মানে দ্বিগুণ খাটুনি। তাই মামাকে বল্লাম মাঠের মাঝখান দিয়েই যেতে।

আমরা ভয়ে ভয়ে মাঠটি পার হতে লাগলাম। মাঠের কোনায় ছিল একটি পরিত্যাক্ত কুঁড়েঘর। কথিত আছে ২০বছর আগে ওই ঘরে স্বামীস্ত্রী একসাথে খুন হয়েছিল। এবং মাঝে মাঝে ওই ঘর থেকে আলো দেখা যেত। যদিও ওই ঘরে কারেন্ট এর ব্যবস্থা ছিল না!

Share:

মায়ের ভালোবাসা

আমার মা এক ধর্মান্ধ সমাজে বড় হয়েছেন। মা রাঁধতে পারেন তাই মায়ের জন্য যথেষ্ট। মা জানেন না কিভাবে কল করতে হয়। মা যাতে সহজে আমাকে কল দিতে পারেন সেজন্য মায়ের মোবাইলে স্পীড ডায়াল করে দিয়ে বললাম "মা এই যে 'দুই' এখানে টিপ দিয়ে ধরে রাখলে আমার নাম্বারে কল যাবে তারপর থেকে মা আমাকে কল দিতেন। কথা বলতাম। প্রয়োজনে-অপ্রয়ো ­জনে।
আমার ৪বছর বয়সের আইনস্টাইন ভাগনা মায়ের মোবাইলটাকে নিয়ে গবেষনা করতে গিয়ে সেটিং চ্যাঞ্জ করে ফেলে। তাই মা আমাকে আর কল দিতে পারছেন না।
আজ সকাল আটটায় যখন মাকে ফোন করি মা তখন ফোনটা রিসিভ করতে পারেননি। দৌড়ে এসে ফোনটা ধরতে না ধরতেই রিংটা কেটে গেল। আমিও কি জানি কি ভেবে আর রিডায়াল করিনি।
একটু আগে মাকে আবার ফোন দিলাম। রিংটা ডুকা মাত্রই মা ফোনটা রিসিভ করলেন।সেই সকাল আটটা থেকে এখন পর্যন্ত মা ফোনটার পাশে বসেই ছিলেন। কবে জানি খোকা ফোন দেয়, যদি আমাকে না পায়...
Share:

প্যারানরমাল

"আমার মামার যখন ১৫/১৬ বছর বয়স তখন তিনি এক হুজুরের বাড়িতে থাকতেন । ওই হুজুর গত ৪ বছর আগে মারা গেছেন । আমার মামা যখন উনার কাছে থাকতেন তখন উনি মামাকে মানা করে দিয়েছিলেন উনাকে না বলে মা গরিবের আজানের পরে মামা যাতে মসজিদের ভেতরে না ঢুকেন । কিন্তু মামার তখন বয়স কম, কৌতূহল অনেক বেশি ছিল । একদিন মামা মাগরিবের আজানের পরে একটা হারিকেন হাতে নিয়ে মসজিদের ভেতরে যায়, মামা দেখে হুজুর নামাজ পড়াচ্ছেন, আর উনার পিছনে অনেক জন লম্বা লম্বা মানুষ নামাজ পড়ছে । এত লম্বা সাদা পাঞ্জাবী পরা লোকগুলা দেখে মামা ভয়ে চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পরে । পরে হুজুর এসে তাকে ঘরে নিয়ে যায় আর বলেন তোমাকে না আমি আমার কাছে না বলে যেতে মানা করেছিলাম, গেলা কেন ? মামা পরে তার ভুল স্বীকার করে মাফচায়, কিন্তু এখনও মাঝে মাঝে মামা রাতে চিৎকার করে, “দোহাই আল্লাহ্‌র, দোহাই হুজুরের আমাকে কিছু বলবা না” কিন্তু আমরা কিছুই দেখি না । মামা নিয়মিত তাহাজ্জুতের নামাজ পড়ে, কিছু দেখেছে হয়ত অনেক ভয় পেত । একদিন নানিও মামার সাথে উঠেছে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তে । মামা নামাজ পড়ছে, অন্য রুমে নানি যখনই নামাজে সালাম ফিরাবে তখনই সাদা কাপড় পরা কাউকে তার পাশে দেখতে পায়, এর পর থেকে নানি আর তাহাজ্জুতের নামাজ পড়ে না । কিন্তু মামা এখন আর ভয় পায় না, আমাদের সাথেও এখন আর এগুলা শেয়ার করে না ।
Share:

অমীমাংসিত কাহিনী

মাঝ রাতে দরজায় কড়া নারার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। আমি বিরক্ত ভাব নিয়ে দরজা খুললাম। দরজা খুলেই বিস্মিত কণ্ঠে বললাম- আরে তুই? এতো রাতে? আকাশ একগাল হেসে বললো- দোস্তঅনেকদিন তোকে দেখি না।
তোকে দেখতে ইচ্ছে হলো তাই
চলে আসলাম। আজ রাতটা তোর সাথেই কাটাবো। আকাশ আমার ছোট কালের বন্ধু। আমরা একই সাথে বড় হয়েছি। আমার বাসা থেকে ওর বাসা প্রায় দু-কিলোমিটার দূরে। অনেকদিন তার সাথে বিভিন্ন ব্যস্ততার জন্য দেখা করতে পারি নাই। প্রায় এক মাস হতে যাচ্ছে। আমার সাথে শুধু মাত্র দেখা করবার জন্য এতো রাতে সে চলে আসবে বাসায় তা ভাবতেই পারছি না। এই না হলে বন্ধুত্ব। তুই কি বাহিরেই দাড়িয়ে থাকবি? ভিতরে আস? গল্প করি দুই বন্ধু মিলে সারারাত। নারে দোস্ত ঘরে বসবো না। চল বাহির থেকে ঘুরে আসি। আমি অবাক হয়ে বললাম- সে কিরে! এতো রাতে কোথায় যাবি? আর তুই এতো সাহসী হলী কবে থেকে? কিছুদিন আগেও না সন্ধ্যার পর তুই ভূতের ভয়ে বাসার বাহির হতি না? এখন কি আর সেই দিন আছে! চল বাহিরে চল। আকাশ একগাল হেসে উত্তর দিলো।
আকাশে কি সুন্দর চাঁদ উঠেছে তাই
নারে আকাশ?

হু আচ্ছা তোর হয়েছি কি বলতো? আসবার পর থেকেই এতো চুপচাপ কেন? আকাশ মৃদু হেসে বললো- না এমনিতেই।
এখন থেকে ভাবছি একাই থাকবো। সন্ধ্যার সময় ডিসিশন নিয়েছিলাম। সারারাত ছিলামও একা। কিন্তু এখন খুব বেশি ভয় করছিলো তাই তোকে ডেকে নিয়ে আসলাম। আমি আবারো অবাক হয়ে বললাম- একা ছিলি, ভয় করছিলো এগুলোর মানে কি? তুই সারারাত কোথায় ছিলি? বাড়ির বাহিরে। কেন? বাসা থেকে কি তোকে বের করে দিয়েছে? নারে বাহির করে নাই। আর বাহির করবে কেন? আমি নিজেই বের হয়ে এসেছি। কেন? আকাশ আমার হাত ধরে বললো- দোস্ত আমার বাসায় একটু যাবি? আম্মু আমার জন্য খুব কাঁদছে। আম্মুকে একটু
বলে দিয়ে আসবি আমি ভালো আছি। খুব ভালো আছি। আমার জন্য যেন কান্নাকাটি না করে। আমি অবাক হয়ে বললাম- আমিতো তোর কথাবার্তা কিছুই বুঝতেছি না। কি সব বলছিস? বাসা থেকে কেন বের হয়ে এসেছিস। কি হয়েছে? চল তোকে বাসায় দিয়ে আসি? নারে দোস্ত আজকে আর বাসায় যাবো না। পরে আরেকদিন বাসায়
যাবো। তুই একটু যাবি দোস্ত। আম্মু খুব কান্নাকাটি করছে। বলেই আকাশ আমাকে জরিয়ে ধরে কাদা শুরু করলো।
এখন রাত সারে তিনটা। আমি আকাশের বাসার সামনে দাড়িয়ে আছি। আকাশকে কিছুতেই আনা যায় নি।
ওকে বলেছিলাম তুই গিয়ে আমার রুমে বস আমি খালাম্মাকে বলে দিয়ে আসছি তুই আমার কাছে আছিস এবং ভালো আছিস।
সে তাও করে নাই। রাস্তায়ই দারিয়ে আছে। আমি খালাম্মার সাথে কথা বলে বাহির হবার পর নাকি আমার সাথে আমার বাসায় যাবে। কি ঘটেছে কিছুই বুঝছি না। আকাশের
কান্নার জন্য বাধ্য হয়েই এতো রাতে আকাশের বাসায় আমার আসতে হয়েছে। আমি নিথর পাথর হয়ে দাড়িয়ে আছি। খালাম্মা আমাকে জরিয়ে ধরে অজর
ধারায় কাঁদছেন। আমি খালাম্মাকে কি ভাবে শান্তনা দেব বঝতে পারছি না। আমার কাছে সবকিছু এলোমেলো মনে হচ্ছে। পুরো বাড়ি জুরেই কান্নার শব্দ ভেসে বেড়াচ্ছে। বাড়িতে অনেক মানুষ। পুলিস এসে আকাশের লাশ নিয়ে যাচ্ছে। আজ সন্ধ্যায় আকাশ তার রুমে গলায় ফাঁস আটকিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার আস্তে আস্তে বোধশক্তি লোপ পাচ্ছে। এ আমি কি শুনছি। আমি তাহলে এতক্ষণ কার সাথে ছিলাম? আকাশই তো তার বাসায় আমাকে আসতে বললো। আকাশের লাশটি পুলিশের গাড়িতে তোলা হচ্ছে। শেষ বারের মতো আকাশকে দেখলাম আমি। আমার সমস্ত পৃথিবী দুলো উঠলো। মনে হচ্ছে সবকিছু দুলছে। চোখ এর সামনে থেকে সবাই আস্তে আস্তে দূরে সরে যাচ্ছে। আমি আসতে আসতে অন্ধকার একটা জগতে হারিয়ে যাচ্ছি। দূরে কে যেন কান্না করছে। তার মাঝে কে যেন
বলছে- আম্মুকে বলিস, আমি ভালো আছি।.
Share:

শেষ কথা

দেখতে দেখতে সৃতির পাতা থেকে ৬ মাস ১২ দিন চলে গেল।মনে পড়ে,বৈশাখমাস এর এক পরন্ত বিকালে,তোমার সাথে আমার দেখা।তার পর থেকে এক সাথে হেঁটে চলা।জানো বন্ধুরা আমাদের এই সম্পর্কের নাম দিয়া ছিল মানিকজোড়।আমরা কেউ কাউকে ছাড়া একটি মুহূর্ত থাকতে পারতাম না,মনে পরে তোমার।আর আজ আমার সাথেতোমার সম্পর্কটা রাখা নাকি তোমারকাছে শর্ত সাপেক্ষ বিষয়। কাল যখন তুমি বললে ,আমি নির্লজ্জ,শুনে বেশ লেগেছিল।হা,আমি নির্লজ্জ, কারন আমি তোমার শত অপমান সজ্জ করেউ তোমাই ভালবেসে গিয়াছি।হা তুমি ঠিকই বলেছ,আমি স্বার্থপর, কারন আমি সব কিছুর ভাগ দিতে পারব,কিন্তু তোমাকে অন্য কারো অংশ হতে দিবনা। জানো,মানুষ যাকে বেশি ভালবাসে,তাকে হারানোর ভয় ঠিক ততটাই তাকে গ্রাস করে। জানো আজ আকাশটা আর দেখতে পারিনা,কারন আমার চারিদিকে আজ ঘন ঘটা মেঘ। জানো আমি আর আগের মত চঞ্চল নেই, যেখানেই যাই,থম মেরে বশে থাকি,নিজেকে মাঝে মধ্যে বৃক্ষের সাথে তুলনা করি।আমি খুনি,কারন আমি আমার ভালবাসাকে হত্যা করেছি।আজ আমি তোমাকে কিছু কষ্টেরকথা বলবো,তখন আমাদের সম্পর্কের ট্রেনটা সবেমাত্র যাত্রা শুরু করেছে,তুমি বললে, আমি যদি কখনও বলি,তুমি আমার সাথে আর যোগাযোগ রাখবেনা,তুমি মেনে নিও,তুমি কোন কৈফত চেও না।ভালবাসা তখন ঠিক বুজতাম না,তবে ১ টি জিনিস বুজতে পেরেছিলাম,আমার নয়ন বেয়ে গরম কিছু পানি বের হইয়ে ছিল।তার নাম যদি ভালবাসা হয়, তবে আমি তোমাই ভালবাসাতাম।তুমি ­ ১ দিন বলেছিলে,আমি নাকি প্লে বয়,সেদিন আমার দু চোখ বেয়ে রাজ্যের দুঃখ গুলো হাত ধরা ধরি করে গড়িয়া পরেছিল।এর নাম যদি ভালবাসা হয়,তবে হা আমি তোমাই ভালবাসতাম। যখন তুমি রাগ হইয়া আমায় তুই তুকারি করতা, বোনাস হিসাবে কোন কিছুর বাচ্চা বলতা, তখন আমি নিরবেকাদতাম।এর নাম যদি ভালবাসা হই,তবে হা আমি তোমাই ভালবাসি।যখন তোমার কাছে বার বার ক্ষমা চাওয়ার পর ও তুমি আমায় নিয়ে ভতশনা কর,তখন আমার অনেক মন খারাপ হয়,এর নাম যদি ভালবাসা হয়,তবে আমি তোমাই ভালবাসি। যখন রাস্তা পার হউয়ার সমই,রাস্তার দিকে না তাকিএ, ফোন এরবাটন এর দিকে তাকিএ থাকি, যখন জীবন এর ঝুকির চেয়ে তোমার কাছে ফোন করাটা বেশি গুরুত্ব পূর্ণ হয়,এর নামে যদি ভালবাসা হয়,তাহলে আমি তোমাকে ভালবাসি। যখন পরীক্ষাশুরুর ১ মুহূর্ত আগে তোমার কণ্ঠটা শুনতে চাই, এটা যদি ভালবাসা হই,তবে আমি তোমাই ভালবাসি। তবে হা,তুমি অনেক ভাল।আমি জানি তুমিও আমায় অনেক ভালোবাসো। জানো খুব ছোট বেলাই পুতুল খেলতাম, যখন ইচ্ছা হতো মেরে ফেলতাম।আজ নিজেকেপুতুল মনে হচ্ছে। আল্লাহ হইত এই জন্যই আমার সাথে এভাবে খেলছে,তবে তোমার ১ তা বড় গুন কি জানো, তুমি আমায় অতি সহজেই মাফ করে দাউ। তোমার গুন গান কখনোই বলে শেষ করা যাবেনা। অনেক দিন ঠিক মত ঘুম হয় না,তাই আজ রাত এ গভীর একটা ঘুম দিব।অনন্তকালের ঘুম। এই ছিল তপু আর জেরিন এর মধ্যে ফোন এ শেষ কথা।এর পর জেরিন কখনই তপুর ফোন খোলা পাইনি
Share:

ভাগ বসানো মেয়ে

আমি যে কলেজ টায় পড়তাম সেটা ছিল স্কুল এন্ড কলেজ। সেদিন ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানের মহড়া চলছিল, মহড়া দেখতে আমার মত আর অনেকে হাজির। অডিটরিয়ামে কি একটা সেমিনার চলছিল তাই বানিজ্য ভবনের ছোট্ট ক্লাসটাই মহড়া হচ্ছিল। আমি ভেবেছিলাম আমি ই শেষে আসলাম পিছনে তাকিয়ে দেখি আমার পিঁছু পিঁছু আরও একটি মেয়ে আসল, বসার জায়গা নেই, আমি ছোট্ট একতা ধুলোমাখা বেঞ্চ পেলাম ঝেঁড়েঝুঁড়ে বসে পড়লাম। মেয়েটি বসার কোন জায়গা না পেয়ে দাড়িয়ে আছে, আমি কি বলব পাশে বসতে? আবার কি না কি মনে করে? ভাবতে লাগলাম্, অবশেষে বললাম- এই যে আপনি চাইলে আমার পাশে বসতে পারেন, আমার বলতে দেরী হল মেয়েটির বসতে দেরী হলনা, একটা ধন্যবাদ দিলনা। মহড়া দেখার পাশাপাশি আঁড়চোঁখে আমাকে ও দেখছিল, আমি যে দেখছিলাম না তা না, তাইতো কয়েকবার চোঁখাচোঁখি হয়ে গেল। আমার সিটে ভাগ বসিয়ে পুরো মহড়াটাই দেখল অথচ আমার সাথে একটা কথাও বললনা। রিক্সার জন্য দাড়িয়ে আছি, এসময় টা তে রিক্সা পাওয়া অনেক কষ্টকর। অবশেষে একজন কে আসতে দেখে আমি ডাক দিয়ে থামতে বললাম, পিছন থেকে আরও কে একজন থামতে বলল, ফিরে দেখি সেই মেয়েটি।যেহেতু আমি আগে ডেকেছি তাই আমি পেলাম রিক্সাটি, মেয়েটি হতাশ ভঙ্গিতে দাড়িয়ে আছে। হতাশ হবারই কথা এ সময় টা তে রিক্সা পেতে বহু হিমশিম খেতে হবে। আমাকে অবাক করে দিয়ে বলে বসল, - সজীব ভাইয়া, আমাকে কি নেয়া যাবে সাথে? আমিতো থ বনে গেলাম তার মুখে আমার নাম শুনে, - আপনি আমাকে চিনেন? - না চেনার কি আছে? আপনাদের বাসার তিন তলায় তো থাকি আমরা, নতুন এসেছি, আপনি চিনবেন কিভাবে সারাদিন তো বই নিয়ে রুমেই পড়ে থাকেন্। - আচ্ছা বসেন, আমি তাকে আমার পাশে বসার জন্য ভাগ দিয়ে দিলাম। বাসায় পৌছলাম দুজনে। সুমির কথা বলছি, সে ক্লাস নাইনে পড়ে মাত্র, আমাদের বাসায় এসেছে গত মাসে আগে আশেপাশে কোথায় জানি থাকত। আমি ছোট বেলা থেকেই ঘরকুনো,আমার রুমটা আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় মনে হয়, বেশির ভাগ সময় আমার খাবার আম্মু রুমে নিয়ে আসে। তাই নতুন ভাড়াটিয়া কে এল কে গেল আমি জানিও না। এরপর থেকে প্রায় আমার সাথে আসা কিংবা যাওয়া হয়ে যেত কলেজে। আমাদের বাসায় ও আসা বেড়ে গেছে সুমির, আম্মুকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করত, আম্মু ও ওর ভক্ত হয়ে গেছে দেখলাম। শীতকালে চিতই পিঠা টা আমার খুব প্রিয়, তবে ২ টার বেশি খেতে পারিনা। সেদিন আমার রুমে আম্মু নাস্তা রেখে গেল, দেখিএকটা মাত্র পিঠা, মাকে বললাম একটা কেন? মা বললেন, ২ টাই রেখেছিলাম একটা সুমি এসে খেয়ে ফেলেছে। দেখেন তো কেমন লাগে ? শেষ পর্যন্তদেখি এই মেয়ে আমার খাবারেও ভাগ বসাতে শুরু করেছে। সবচেয়ে অবাক হলাম যখন শুনলাম আমার রুমে এসে আমার অনুপস্থিতে আমার ল্যাপটপ, বই নিয়ে ঘাটাঘাটি করে.. এইচ,এস,সি পরীক্ষার পর আমার সেনাবাহীনি তে চান্স মিলে গেল, চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি তে চলে গেলাম ট্রেনিং এ,মা আমার একা হয়ে গেলেন, সুমি হয়ে উঠলো আম্মুর একমাত্র বন্ধু, সহযোগী সব কিছু। ট্রেনিং এথাকাকালীন একদিন ফোন করলাম, সুমি ই ধরল ফোনটা। - আন্টির শরীর খারাপ, তাই আমি রান্না টা করে দিচ্ছি, আংকেল এখনো আসেনি বাসায়। -সুমি, আমার মায়ের দিকে একটু খেয়াল রেখ, - আবার আমাকে খোঁচা দিবেন না তো আপনার মা'র ভাগ বসাচ্ছি বলে? - না, দিবনা। মা'র সাথে কথা হলেই শুধু সুমি'র কথা বলে, আমার বুঝতে অসুবিধা হচ্ছেনা সুমিঠিকই আমার মা'র ভাগটাও নিয়ে নিয়েছে। এইতো বছর দুয়েক আগের কথা, আমার পোষ্টিং তখন রাঙামাটি। হঠাৎ খবর আসল আম্মু অসুস্থ। সি,ও থেকে ছুটি মিলার পর আমি ছুটে চললাম বাড়ির দিকে, একদম বাড়ি পর্যন্ত যাওয়া লাগেনি, আম্মু কে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছোট্ট একটা অপারেশন করা হয়েছে আমি জানতাম না, আমাকে জানানো হয়নি। রক্তক্ষরণ হয়েছে আম্মুর্, রক্তও দেয়া হয়েছে। সুমি নাকি আম্মুর জন্য রক্ত দিয়েছে। সুমির প্রতি কেন জানি মাথা নত হয়ে আসতে থাকে আমার। আমাদের কেউ না অথচ সব কিছুতেই আছে। এতদিন ভাবতাম শুধু ভাগ নিয়ে যাচ্ছে আজ দেখলাম মেয়েটি ভাগ দিতেও জানে। আমার আম্মুর শরীরের রক্তেও এখন তার ভাগ আছে। আম্মুর অপারেশন পর একদম দূর্বল হয়ে পড়েছেন। কাজকর্ম তো দূরে থাক তাকে দেখতেও একজন লাগে। সুমির এইচ,এস,সি, পরীক্ষা শেষ, তাই তার অবসর থাকায় সে ই দেখছে আম্মু কে। আমার বিয়েটা একদম জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে, মেয়ে দেখা হচ্ছে, আম্মুর কাছে ঘুরে ফিরে সুমির কথায় শুনছি, শেষ পর্যন্ত- আমার সব কিছুতেই ভাগ বসানো মেয়েটিকেই ঠিক করা হল আমার জীবনের ভাগ বসানোর জন্য। বাসর রাতে সুমি কে বলা আমার প্রথম কথা কি ছিল জানেন? 'মেয়ে, শেষ পর্যন্ত তুমি আমার জীবনেও ভাগ বসালে'? তবে একটা জিনিসে তুমি না কেউ ই ভাগ বসাতে পারবেনা, সেটা হচ্ছে তোমার প্রতি আমার ভালবাসা। সুমি ঘোমটা টা একটু সরিয়ে বলল- 'আমারো'। আমাদের দুজনের ভালবাসাবাসি চলতেই থাকে। আমার আম্মু ও এতদিনের বন্ধু, সহযোগী কে পুত্রবধু হিসেবে পেয়ে খুব খুশী। সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করেই আমাদের সংসারচলছে। জানেন? এ মুহূর্তে অনেক খূশি লাগছে আমার। একটু আগে সুমি ফোন করে জানালো আমাদের দুজনের ভালবাসায় ভাগ বসাতে একজন অথিতি আসতে যাচ্ছে। রেশমা আন্টি,আম্মুর খালাতো বোন, গাইনি ডাক্তার, একটু আগে আম্মু আর সুমি তার চেম্বার থেকে আসল। এসেই আমাকে ফোন টা করল। পাঠক আপনারাও আসুন আমাদের সুখের সংসারে ভাগ বসাতে, আমাদের নতুন অতিথির নামটা ঠিক করে দিয়ে ।
Share:

২৪ ঘণ্টা এবং একটি প্রেমের গল্প

রাত ১২টা টুং টুং শব্দে ঘুম ভেঙে গেল। মাত্র চোখটা লেগেছিল। ভীষণ রাগ হচ্ছে।এসএমএস এসেছে রুনুর, ‘দোস্ত, আই অ্যাম ইন লাভ।’ সকাল সাতটা ফেসবুক হয়ে গেছে তিন বেলার খাবারের মতো। সকাল,দুপুর, রাত অনলাইন হতেই হবে। যথারীতি অনলাইনহলাম। আরে! আমার কলিগ রুনু লিখেছে, ‘ইন এ রিলেশনশিপ উইথ রায়হান।’ মনে পড়ল রাতের এসএমএসের কথা। এই রায়হানটা আবার কে? দেখি,অফিসে যাই, রুনু আসুক। সকাল নয়টা মাত্র অফিসে ঢুকেছি, রুনু যেন উড়েএল, ‘এই আমার এসএমএস পেয়েছিস? রায়হানকে দেখেছিস? সুন্দর না? আজ আমরা একসঙ্গে লাঞ্চ করব, তুই কিন্তু কোনো বাহানা করবি না।’ আমার ডেস্ক পর্যন্ত চলে এসেছে রুনু। আজ ওকে লাগছে অস্থির প্রজাপতির মতো, উড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে। দুপুর ১২টা কাজের খুব চাপ গেছে সারাটা সকাল।ফেসবুকে ঢুঁ মারার কোনো সুযোগ হয়নি। ঢুকেই রায়হানের ছবি দেখলাম। রুনু শেয়ার করেছে। বাহ্!রায়হান তো দেখতে খুব সুদর্শন। রুনুর পাশে খুব মানাবে। দুপুর একটা অতিথি শুধু আমি, রুনু আর রায়হান পাশাপাশি বসেছে। আমি ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো তাদের খুনসুটিউপভোগ করছি। ‘শোন,ও কি বলে জানিস, হানিমুন করতে নাকি প্যারিস যাবে।দেখ, এত টাকা খরচ করার কোনো দরকার আছে?’ ‘আরে! আমার বউয়ের জন্যই তো আমার সব। আপনি বলেন, আমি কি ভুল বললাম।’ রায়হানের কৃত্রিম অভিযোগ। ‘কিন্তু টুনির জন্য কিছু জমাতে হবে না?’ ‘টুনি!’ রুনুর কথার রেশ ধরে আমার বিস্ময়। ‘ও, তোকেতো বলা হয়নি, রায়হান ঠিক করেছে আমাদের প্রথম বেবির নাম টুনি রাখবে।’ রুনুর গাল লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।লাঞ্চ শেষ, আমাকে এবার বিদায় নিতে হবে। দুজনের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করে আমি চললাম অফিসের দিকে। রায়হান আর রুনু প্রজাপতি হয়ে উড়ে গেল বিকেলটা উপভোগ করতে। বিকেল চারটা উফ্! এত কাজ! দুপুরে যে কি খেয়েছি,মনে করতে পারছি না। রুনু কি মজাইনা করছে। তাদের ওয়ালে কমেন্ট পড়েই যাচ্ছে। শুভেচ্ছা, কেউ কেউ আবার বিয়ের দাওয়াত চাইছে। একটু হিংসা হচ্ছে। কীভাবেএত ভালো একটা বর পেয়ে গেল! হ্যাঁ!রায়হানকে তো ও বর বলেই ডাকে। আমার তো ফেসবুক আছে, কিন্তুরায়হানের মতো কোনো ফ্রেন্ড নেই। রাত আটটা মাত্র বাসায় পৌঁছালাম। বিধ্বস্ত। এর মধ্যে রুনুকে অনেক বার ফোন দিয়েছি, ধরেনি। এখন কি আর ওর আমার ফোন দেখার সময় আছে? প্রচণ্ড খিধে পেয়েছে। খাবার দিতেবলে ফ্রেশ হতে গেলাম। রাত ১১টা ৩০ মিনিট রুনু ফোন দিয়েছে। ‘কী ব্যাপার! সারাটা দিন লাপাত্তা, আজিই হানিমুন সেরে ফেললি নাকি? আমি তো...’ মুখের কথা শেষ করতে পারলাম না, রুনু কেড়ে নিয়ে বলল, ‘খবরদার, ওই ছোট লোকটার কথা বলবি না। ওর সঙ্গেসম্পর্ক রাখলে দুই দিনে আমাকে পাবনা গিয়ে ভর্তি হতে হবে, ছিঃ! জানিস, আমার আগেও কত মেয়ের সাথে..., থ্যাংকস গড,আমি আগেই জানতে পেরেছি, এসব ছেলে...’ রুনুর রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস সিঙ্গেল হয়ে গেছে। দেয়াল ঘড়িতে ১২ টার ঘণ্টা বাজছে।
Share:

Ojana Bhalobasa

Ami 1 jon ssc candidate..pora ­­shona valo hocche na..ajk apnader shathe amr lyf er 1ta sotti ghotona share korbo.. ami jokhon class 7 a portam tokhon amar babar phn theke 1tacheler shathe porichoy hoy..protidin parents and apuder chokh faki diye or sathe kotha boltam..or shathe kotha bolar jonno thik moto school a jetam na..kichu d­in por o amk propose korlo..emon korei ekta shomoy eloj oke ami vlobaste shuru korlam..amar vlobasar govirota etotai chilo j eta kokhno vabini se amk real love kore kina..?or bishoye keu kono negative kotha bolle ami believe kortamna..but se amr bisshaske venge dilo..onno 1joner kache jante parlam se naki hindu dhormer..vebe ch­ilam r relation rakhbona karon ami ekjon muslim family'r meye..but parlamna..ami jokhon class 9 a pori tokhon or sathe amr 1st dekha hoy..kichudin por kono 1ta karone amader relation break up hoye jay..o ekhon ekta private versity theke honours korche..kichudi ­­n por amader relation abar make up hoy..amra dujon paliye jawar plan kore chilam..but ­ o amar jonno muslimhote raji na..jehetu aamar parents hazz kore esechen sehetu tara kokhonoi amader mene niben na..r amr pokkheyo hindu howa possible na..ekhon amar ki kora uchit hobe or sathe paliye jawa?
Share:

স্মৃতি

জায়গাটা উত্তরা,সেক্টর ২।এয়ারপোর্ট থেকে খুব দূরে নয়।এই সেক্টরের ব্লক বি তে সুউচ্চ এপার্টমেন্ট বিল্ডিং মারলিন।মারলিনের ­ দ্বিতীয় ফ্লোরে থাকে কাজী পরিবার।তাদের দুই মেয়ে আর তিন ছেলের মধ্যে মেজো ছেলেটা খুব হ্যান্ডসাম,নাম আবির।যেমন চেহারা তেমন তার গঠন।ঝাকড়া চুল,তার সাথে খোচা খোচা দাড়ি,মানিয়েছে ­ খুব।আর ছেলেটার ব্যবহার ও খুব অমায়িক,যে কাউকেই প্রথম পরিচয়েই আকর্ষন করার মতো।আবির বায়োকেমিস্ট্রি ­র ফার্স্ট ইয়ার এর স্টুডেন্ট। একই বিল্ডিং এর চতুর্থ ফ্লোরে থাকে মির্জা পরিবার।বেশ সুখী একটা পরিবার।এই পরিবারের একমাত্র মেয়ে স্নেহা মির্জা।তার বাহ্যিক সৌন্দর্যের বর্ণনা দেয়া মুসকিল।সুন্দর গঠন,চমতকার গায়ের বর্ণ।ও রাজুক উত্তরা মডেল কলেজের ক্লাস নাইনে পড়ে।সাইন্সে পড়ে।মেধার দিক দিয়েও খুব ভাল আর অনেক ফ্রেন্ডলি।স্নেহ ­ার মা বাবা ফিজিক্স আর কেমিস্ট্রির শিক্ষক হিসেবে আবিরের কথা ভাবলেন।ছেলেটা খুব মেধাবী আর সাইন্সের ও স্টুডেন্ট। স্নেহাকে আবির পড়াচ্ছে প্রায় ১মাস ধরে।এর মধ্যে দুজনের মাঝে খুব বন্ধুত্ব হয়ে গেছে।স্নেহাকে পড়াশোনা ছাড়াও যেকোন কাজে হেল্প করে আবির।মোটকথা চান্স পেলেই ওরা নিজেদের মধ্যে গল্প গুজবে মেতে উঠে।এভাবে কেটে গেল কয়েক মাস।এরমধ্যে স্নেহার দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার রেজাল্ট দিল।দেখা গেল ওফিজিক্সে ৮৩ আর কেমিস্ট্রিতে ৮৯ নম্বর পেয়েছে।স্নেহার ­ বাবা মা খুব খুশি আর স্নেহা নিজেও খুব খুশি।মনে মনে ও আবিরকে ধন্যবাদ দিল। একদিন বিকেল বেলা স্নেহা ছাদে গেল।আর হঠাত্‍ সে আবিরকেও ছাদে পেল।সেদিন বিকেলে ওরা অনেক গল্প করল আর সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে গেল।এভাবেই মাঝে মাঝে ওরা ছাদে গল্প করত।একদিন স্নেহা ওর ভাল রেজাল্টের জন্য আবিরকে আইস্ক্রিম খাওয়ালো।দুজনে ছাদে গল্প করছে আর আইস্ক্রিম খাচ্ছে।আবির ও মাঝে মাঝে ওকে আইস্ক্রিম,চকলেট ­ খাওয়াতো।এভাবেই ­ ওরা দিন দিন খুব ভাল বন্ধু হয়ে গেল আর ভাব জমছিলো দুজনের মধ্যে। একদিন তৃতীয় তলার মলি আন্টি ওদেরকে একসাথে ছাদে দেখলো।মলি আন্টি স্নেহা আর আবির দুজনের বাবা মাকেই এই ব্যাপারে জানাল।স্নেহার বাবা মা তাই অন্য ধরনের কিছু ঘটার আগেই ঠিক করলো স্নেহাকে আবিরের কাছে আর পড়াবেনা।পরদিন স্কুল থেকে ফিরে স্নেহা তা জানতে পারলো।সাথে সাথেস্নেহার স্বচ্ছ,সুন্দর মনটা আধারে ঢেকে গেল।এর পরের কয়েকদিনস্নেহার সাথে আর দেখা হলনা আবিরের।আবিরও নিজেকে আর সামলাতে পারলনা।স্নেহার সাথে থাকা প্রতিটা মুহূর্ত ওর মনে উকিঝুকি দিতে থাকল।ছাদে স্নেহার সাথে ওর গল্প,হাসি,কথা,স ­্নেহার সব স্মৃতি ওকে কষ্ট দিতে শুরু করল। এর পরের কয়েক মাস আবিরের সাথে আরকথা হয়নি স্নেহার,ওর মনের না বলাকথাগুলো আর বলা হয়নি আবিরকে।ওদিকে হটাত করে স্নেহাদের ইউ.এস.এ যাওয়ার ভিসা হয়ে গেল।এক মাস পর ফ্লাইট।এই খবর শুনে স্নেহা আরো ব্যাকুল হয়ে গেল।অজানা এক বেদনায় ওর হৃদয়,মন সব কিছুতেএকটা ঝড় বয়ে গেল।আবির ও এই খবরটা শুনে কষ্ট পেল।একদিন বাসার নিচে আবির আর স্নেহার দেখা হল।স্নেহা কবে চলে যাচ্ছে আবির জানতে চাইল।স্নেহা জানাল দুইদিন পর।বলার সাথে সাথে স্নেহার চোখে পানি এসে গেল।আবির স্নেহাকে ইউ.এস.এ গিয়ে ওর কথা স্মরণ করতে বলল।স্নেহা আর উত্তর দিতে পারলনা,চলে গেল। দুইদিন পর।রাত ৯:৩০।স্নেহা গাড়িতে উঠে বসল।দুতলায় বেলকনিতে আবিরকে দেখতে পেল ও।আবির হাত নাড়ে।কিন্তু কিছুই বলতে পারলনা স্নেহা।কিভাবে আর কখন যেন আবিরকে ভালবেসে ফেলেছে স্নেহা নিজের অজান্তে।আর ওর সেই অসমাপ্ত ভালবাসার বিসর্জন দিতে হচ্ছে শুধুই চোখের জল দিয়ে।এইত সেদিনের সেই রৌদ্দ্রুজ্জ্বল পড়ন্ত বিকাল,সেই ছাদ,সেই স্মৃতি।কিন্তু নিয়তির অমোঘ টানে তা এখন শুধুই স্মৃতি,যেন তা ফুরাবার নয়। প্লেন নিউইয়র্কের যে.এফ.কে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করল।স্নেহাদের জন্য ওদের রিলেটিভরা আগেই এপার্টমেন্ট ঠিক করে রেখেছিল।ওখানেই উঠল ওরা।কিন্তু স্নেহার ভাবনার কেন্দ্রবিন্দু ওই আবির আর আবিরেরস্মৃতি।টেলিফোনে ­ আবিরের নম্বর ডায়াল করে রিসিবার কানে ঠেকাল স্নেহা।কিন্তু আবিরের ফোন বন্ধ।একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে ফুপিয়ে কাদতে থাকল স্নেহা।তা যেন আর থামার নয়।এ কান্না ওর সারাটা জীবনের,যতদিন বেচে থাকবে আবিরের স্মৃতি।
Share:

ভালোবাসাময় হোক সবার জীবন

ঘড়ির কাটায় ঠিক সকাল ১০ টা বাজে তখন । রাতুল এখনও বিছানায় । কাল ১৪ই ফেব্রুয়ারি বলে রাতে ঠিক করে রেখেছে কক্সবাজারে এবার বিশ্ব ভালোবাসা দিবসটি উদযাপন করবে । মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙল রাতুলের । মাকে সব খুলে বলল সে। সাবধানে থাকার কথা বলে মা ও যাবার অনুমতি দিয়ে দিলেন । রাতুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ­ ছাত্র। কথা-বার্তা আর চালচলন দেখলেই নিঃসন্দেহে বলা যায় একজন পারফেক্ট স্মার্ট ছেলে। ১৪ই ফেব্রুয়ারি ।কাল রাতেই কক্সবাজারে আসে রাতুল। আজ কেন জানি খুব ইচ্ছে করছে রাতুলের সমুদ্র সৈকত দেখতে। নাস্তা শেষ করেই রওয়ানা দিল রাতুল। বালুময় রাস্তা দিয়ে আনমনে হাঁটছে। রাস্তাটা সৈকতের ঠিক পাশেই। ঠাণ্ডা বাতাস বইছে যা চুলগুলোকে এলোমেলো করে দিচ্ছে। যেন নিঃসঙ্গতার পাশে একটু সময়ের জন্যসঙ্গি হয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে তাকে। নিজেরই অজান্তে কখন যে রাতুল শিষ বাজানো শুরু করেছে তা সে নিজেও বলতে পারবেনা। রাতুল কিন্তু খুব ভালো শিষ বাজাতে পারে। শিষটা থামাতেই পেছন থেকে আওয়াজ আসে- " বাহ, আপনি তো বেশ ভালোশিষ বাজাতে পারেন " কথাটা শোনার পর পেছনদিকে তাকাতেইএক মেয়েকে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখে সে অবাক হয়। সূর্যের আলো মেয়েটার মুখে পরছে অপূর্ব লাগছে তাকে। কিছুটা বিব্রত বোধ করল রাতুল। মেয়েটা তার এই অবস্থা দেখে তখনও মুচকি হাসছে। হঠাৎ আবার বলে উঠলো, " আমি সামিয়া। এখানেই থাকি। আর আপনি? " হা করে তাকিয়ে আছে এখনো। হঠাৎ মুখ থেকে একটি কথাই বের হল " রাতুল " " অহ রাতুল। সুন্দর নাম। ইয়ে মানে,ওভাবে হয়তো হঠাৎ করে আপনার সাথে কথা বলা উচিতহয়নি। আসলে এখানে সবাই জুটি আর দূর থেকেদেখছিলাম আপনি একা হাঁটছেন আর যতই কাছে আসছিলাম আপনার শিষের ধ্বনি বাতাসে ভেসে আসছিল। তাই কৌতুহল হল। তা আছে নাকি আপনার এমন কোন স্বপ্নমানবী যার জন্যে আনমনে এমন মধুর শিষ বাজাচ্ছিলেন?" বলেই হেসে ফেললো সামিয়া। হতভম্ব ভাবটা তখনও কাটেনি। এই প্রথম কারো কথাগুলো রাতুলের মনটাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে । " না মানে! এরকম কেউ আজো আসেনি আমার জীবনে "-বলল রাতুল। " ও আচ্ছা । আপনি কি বিরক্তবোধ করছেন? " - জানতে চাইলো সামিয়া। " জী, না। মানে একটু..." কথাটা শুনে আবারো খিলখিল করে হেসে ফেললো সামিয়া। হাসি একটু কমতেই বলল " আপনি ভাবছেন আমি আবার কেমন মেয়ে! এতো কথা যেচে এসে জিজ্ঞেস করছি কেন!! আসলে আমি এমনই! " একটু নীরবতার পর আবার সামিয়া বলে উঠলো "চলুন একটু হাঁটা যাক। কি যাবেন? নাকি সমস্যা আছে? " " না! কোনো সমস্যা নেই। চলুন "- বললরাতুল। সৈকতের বালুময় হাঁটতে লাগলো দুজন। সামিয়ার পরনে ছিল নীল রঙের শাড়ি। মাঝে মাঝে রাতুল সামিয়াকে দেখছিলআর ওর কথাবার্তায় শুধু মুগ্ধ হচ্ছিলো। তারপর কয়েকমাস কেটে গেল। ততক্ষণেমন দেয়া নেয়ার পর্ব শুরু হয়ে গেছে। রাতুলের হৃদয়ে সামিয়ার জন্যে আলাদা একটা জায়গা তৈরি হয়েছে। কক্সবাজার থেকে আসার পর ফেসবুক আর ফোনের মাধ্যমেই তাদের যোগাযোগহতো। রাতুল ঠিক করল সামিয়ার সাথে দেখা করবে। দুজন আবারো সৈকতেই দেখা করলো যেহেতু সামিয়াদের বাসা কক্সবাজারেই। সন্ধায় হাঁটতে হাঁটতে সামিয়াকে প্রপোজ করা। সামিয়া প্রথমে মুচকি হাসে তার পরেরটা কি আর বলা লাগে? একটি মেয়ের এই মুচকি হাসির আড়ালে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুতো থাকতে পারে না। ভালোবাসার এই পবিত্র বাঁধনের মধ্য দিয়ে ৬ বছর পার করে দিল রাতুল আর সামিয়া। ৬ মাসে একবার দেখা হতো আর খুব কমই কথা হতো। তাই বলে ওদের ভালোবাসা বিন্দু মাত্র কমেনি। আজ সামিয়ার জন্যে অনেক আনন্দের দিন। বলার আগেই বুঝে যাবার কথা যেকেন আনন্দের দিন? হ্যাঁ! আজ সামিয়ার বিয়ে। রাতুলের সঙ্গে। ৬ বছরের এই উত্তাল প্রেম পূর্ণতা পেতে চলেছে। প্রকৃতিও যেন হেসে তাদের এই সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিচ্ছে। রাতুলের ভাবতেই আশ্চর্য লাগছে। দিনটাকে রঙিন মনে হচ্ছে, হাওয়ায় হাওয়ায় ভালোবাসার জয়ধ্বনি ভেসে আসছে। এককথায় একটি সাধারন প্রেমের কাহিনী সফল হলো যার মাত্রাটা অসাধারণের চেয়েও বেশি।
Share:

লোভ ধ্বংসের কারন

আফ্রিকায় এক কৃষক বাস করত। সে খুবসুখী এবং সন্তুষ্ট ছিল। সে সুখী ছিল কারন সে সন্তুষ্ট ছিল। সে সন্তুষ্ট ছিল কারন সে সুখী ছিল। একদিন এক আগন্তুক তার কাছে এসে তাকে হীরার মূল্য সম্পর্কে অবগত করল। সে বলল " যদি তুমি তোমার ব্রিদ্ধাঙ্গুলের ­¬ সমান এক টুকরোহীরে পাও তাহলে তুমি তোমার গ্রাম কিনে ফেলতে পারবে আর যদি এক মুষ্টি পরিমাণ হীরা পাওতাহলে সম্ভবত তোমার দেশটাই কিনে ফেলতে পারবে। একথা বলে সে চলে গেল। ওইদিন রাতে কৃষক ঘুমাতে পারলনা। সে অসুখী এবং অসন্তুষ্ট ছিল। পরের দিন সে একটা অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নিল। সে তার সকল জমি বিক্রি করে দিল। তার পরিবারের দেখাশুনাবন্ধ করে দিল। এবং হীরারখুজে বেরিয়ে পড়ল। সে সমস্ত আফ্রিকা খুঁজল,কিন্তু পেলনা। শে সমস্ত ইউরপ খুঁজল,কিন্তু পেলনা। অবশেষে সে স্পেনের একটি নদীর সামনে গিয়ে দাড়ালো। সে এতটাই হতাশ হয়েছিল যে নদীতে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করল। এদিকে কৃষকের জমিযে কিনেছিল সে সকালে জমিতে পানি দিচ্ছিল। সকালের সূর্য শিশিরের উপর পড়তে ছিল। হঠাৎ সে খেয়াল করল সূর্যের আলো একটি পাথরের টুকরোর উপর পরে ঝলমল করছিল। সে ভাবলো, পাথর টা ঘরের শুভা বর্ধনে সাহায্য করবে। তাই সে পাথরের টুকরোটি ঘরে এনে সাজিয়ে রাখল। একদিন সেই আগন্তুক আবার আসল। এসে পাথরের টুকরোটি দেখে বলল " এইতো হীরা। ডেব কি ফিরে এসেছে? " লোকটি বলল না সে ফিরে আসেনি। "তাহলে এই হীরা কোথেকে আসল " পাত্রের টুকরোটিকে দেখিয়ে বলল আগন্তুক। লোকটি বলল আমি এটা আমার জমিতে কুড়িয়ে পেয়েছি এবং সেখানে আরও প্রচুর আছে। তারা দুজনে সেখানে গেল। কিছু টুকরো সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হল সেগুলা হীরা ই ছিল। অথচ কৃষক লোভের কারনের জমি বিক্রি করল এবং হতাশায় আত্মহত্যা করতে বাধ্য হল।
Share:

সত্য ঘটনা

আমি তখন ক্ল্যাস সেভেনে পড়ি, গরমের দিন। স্কুলের সামনে ডাব, আচার সহ অনেক কিছু বিক্রি করছিল। দুপুরের বিরতির সময় অনেকে বিভিন্ন খেলা খেলছিল। কেউ মারবেল, কেউ ফুটবল ইত্যাদি খেলছিল। আমার কিছু বন্ধু মারবেল খেলা খেলছিল। আমি নাস্তা করে তাদের খেলা দেখছিলাম। হঠাৎ এক হুজুর আসল, দেখতে খুব সুম্দর, আমি একমাত্র উনাকে সালাম দিলাম, উনি আমার দিকে একটু তাকিয়েসালামের জবাব দিল| উনি ডাবওয়ালার সামনে দিয়ে যাবার সময় হঠাৎ দাড়ালেন আমি তখনো উনার দিখে তাকিয়ে আছি, তখন উনি আমার দিকে তাকালে আমার সাথে উনার চোখাচোখি হয়ে যায়। উনি আমাকে ইশারায় ডাব খাব কিনা জিজ্ঞাসা করেন। আমার উত্তরের অপেক্ষা না করে নিজে দেখে আমাকে একটা ডাব কেটে দিলেন। অপরিচিত কারো কাছ থেকে কিছু না নিলেও আমি উনার কাছ থেকে তা নিলাম। ডাবের পানি পান করে আমার পেট ভরে গেল। আমি ডাব নেড়ে দেখি পানি আরো আছে, তাই ডাবটা হুজুরের হাতে দিলাম, উনি আরএকজনকে পান করার জন্য ইশারা করলেন। উল্লেখ্য যে সবাই খেলা বন্ধ করে আমাদের কান্ড দেখছিল। এবাবে আমরা প্রায় ৩৫জন এই একটা ডাবের পানি খেলাম, শেষে ঐ ডাবটা ডাবওয়ালা ও আচারওয়ালাও খেল, সবশেষে খেলেন হুজুর সাহেব। উনি খাওয়ার শেষে আলহামদুলিল্লাহ্ ­ বলে ডাবটা ফেলে দিলেন। ডাবওয়ালাকে ১০০টাকা দিলেন। যদিও সে তা নিতে চায়নি কিন্তু হুজুর সাহেব জোর করাতে নিলেন। এ ঘটনায় প্রথমে আমাদের মনে কিছু আসেনি পরে ভাবলাম একটা ডাব আমরা এত গুলো মানুষ কিভাবে খেলাম? ডাবওয়ালাতো এ ডাবটা বেচার আগে ও পরে অনেক ডাব বিক্রি করে ছিল, কেউই সেগুলোত দুজনের থেকে বেশি খেতে পারেনি।
Share:

ঘটনাটা শুনেছি আমাদের মসজিদের মুয়াজ্জিন এর কাছ থেকে!

বয়স ৪০এর মত হবে! সে চাকুরি সূত্রে খুলনায় থাকতেন!তার বাড়ি বাগের হাট জেলার চিকলমারি থানার কালকিনী গ্রামে!প্রতি বৃহাস্পতিবার আছরের নামাজ শেষে গ্রামের বাড়িতেযান এবং শনিবার জোহরের নামাজ আমাদের মসজিদে পড়েন!মূল ঘটনাটা বলি | তার ভাষায় |দিনটা ছিল বৃহাস্পতিবার !আমি খুলনা থেকে রওনা দিলাম বিকাল ৬টায়! আমাদের সদর থানায় পৌছাতে পৌছাতে রাত ৯টা বেজে যায়! সদর থেকে আমার বাড়ি আরো ২০কিঃমিঃ পথ!কোন গাড়ি না পেয়ে একটা মটরসাইকেল ভাডা করি!মটরসাইকেলেকরে বাজার পর্যন্ত আসি!এর পরের রাস্তা ভাঙ্গা ও কাদা থাকায় গাডি আর জেতে পারবেনা বলে তাকে ছেড়ে দেই! বাজারে যখন পৌছাই সময় তখন রাত৯.৫০! বাজার থেকে আরো ৩কিঃমিঃদূরে আমার বাড়ি !বাজারের কোন দোকান খোলা নেই! আকাশ একটু মেঘলা থাকায় বেশ অন্ধকার লাগছে!আমার কাছে একটা ২বেটারির টর্চ !আমি হাটতে লাগলাম! যে রাস্তাদিয়ে আমি হাটছি তা ছিল মাটির রাস্তা!রাস্তার বামপাশেই ছিল খাল! ডানপাশে পাট হ্মেত! কিছু দুর হাটার পডে একটা পূজা মন্ডব! মন্ডবটার গেটের উপর একটা মহাদেবের মূর্তি২৫ফুট উচু হবে ও তার পাশে স্বশান! মহাদেবের মূর্তিটার গায়েশেওলা পরায় ঐ টাকে ভয়ংকর দেখাচ্ছিল! স্বশানটার দিকে যখন তাকালাম মনে হয় কেউ যেন একটা ওখান থেকে দৌরে আসবে আমাকে ধরতে! কিছুই দেখিনা কিন্তু মনে হচ্ছে কেউ বুঝি আমাকে দেখছে!আমাকে অনুসরন করছে!আমার পেছনে বুঝি কেউ আছে!দোয়া পড়তে থাকি মনে মনে !প্রথমে কিছু মনে থাকলে ও পরের গুলো ভুল হতে থাকে!কিছু দুর যাওয়ার পর পাশের খালে একটা নৌকা দেখে একটু সাহস পাই! নৌকায় লাইট মারি কিন্তু কোন শাড়াশব্দ নাই !আমি জিঙ্গাস করি কেউ কি আছ! তবু ও কোন শাড়া না পেয়ে আমি নৌকার কাছে যাই ! নৌকার পাটাতনের ভিতরে লাইট মারি!ভিতরে যাকে দেখলাম তাকে আমি চিনি!নাম গফুর!গফুরকে বললাম কিরে তুই এত রাতে এখানে কি করিস! গফুর বললো আমি না থাকলে আপনারে এতরাতে পার করাতো কে? এতরাতে কথাটা শুনে আমি ঘড়িটা দেখলাম!ঘড়িতে তখন সময় ১.৫৫!আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম! এত সময়তো হতে পারে না! আমি কি ৩ ঘন্টা ধরে হাটছি?মোটের পরে ৩০থেকে ৪০ মিনিটের রাস্তা!আমি গফুরকে কিছু বুঝতে দিলাম না!গফুরকে বললাম গফুর আমারে একটু পাড় করেদে!এই বলে আমি গফুরের নৌকায় উঠলাম!নৌকা পাড়ে ভেরার পর আমি গফুরকে বললাম গফুর আমারে একটু বাসা পর্যন্ত পৌছেদিবি? গফুর একটু ভেবে বললো ভয় পাইছেন?চলেন! আমরা দুজন একসাথে হাটছি!কিছু দুর আসার পর আমি খেয়াল করলাম গফুর আমার পেছন পেছন হাটে'!সামনে একটা কবরস্থান এবং কবরস্হান থেকে ধোয়া বের হচ্ছে!একটু যখন কাছে এসে লাইট মারলাম কবরের দিকে! দেখি একটি মেয়ে শাদাকাপড় পড়া চুলগুলো ছেডে দেওয়া কবরস্থানের ভিতরে দাডিয়ে আছে এবং হাত হিশারায় আমাদের ডাকছে! মেয়েটিকে দেখে আমি চিনেছি!ওর নাম ময়না! আমি গফুরকে বলি ও ময়না না? হটাত্‍ বুকের ভিতরটা কেমন যেন করে উঠলো!শরির কেপে গেল!আমার পাশে গফুর নেই!আমি একটা চিত্‍কার দিয়ে দৌরাতে দৌরাতে একটা বাড়ির সামনে গিয়ে অঙ্গান হয়ে পড়ি!বাড়ির লোকজন আমাকে তুলে নিয়ে মাথায় পানি দেয়! কিছুহ্মন পর আমার জ্ঞান ফিরলে আমি তাদের সবকিছু খুলে বলি !আমার কথা শুনে তারা একে অপরের দিকে এমন ভাবে মুখ চাওয়াচায়ি করে যেন আমি তাদের মিথ্থা বলছি ||পরে জানতে পারি গফুর ও ময়নার মধ্ধে একটা সম্পর্ক ছিল! গফুর মাঝির কাজ করে ও ময়নার বাবা একটু প্রভাবশালি !তাদের সম্পর্ক মেয়েটির পরিবার মেনে নেয়নি! তাই মেয়েটি সুইসাইড় করেছে ও গফুরের খোজ কেউ জানেনা|
Share:

বাসায় উদ্ভট কাণ্ড

অনেক দিন আগের কথা তখন ঢাকা তে বাড়ি ঘর কম আর গাছপালা বেশি ছিল।আমাদের বাড়ি তখন কেবল বানানো শুরু করেছে। আমাদের বাসার পাশেই আব্বুর চাচার বাসা ওটা প্রায় বানানো শেষ। আব্বুর চাচাতো ভাই মানে আমার চাচা এক রাতে ওই বাসার একটা ঘর এ থাকবে ঠিক করল। শীতের রাত। দরজা জানালা সব লাগিয়ে ভাল করে লেপ মুরি দিয়ে শুয়ে পরল। মাঝ রাতে হঠাত ঘুম গেল ভেঙ্গে। ঠাণ্ডা বাতাস আসছে কোথাও থেকে। উঠে বাতি জ্বালিয়ে দেখে সব জানালা খোলা।চাচু ভাবল মনে হয় জানালা লাগায় নাই। সব আব্র লাগিয়ে ঘুমায় পরল।একটু পর আব্র ঘুম ভেঙ্গে গেল। আবার এক এ অবস্থা । বারবার ত ভুল হতে পারে না। এবার চাচু একটু ভয় পেল।তাও ভয় এ ভয় এ জানালা বন্ধ করে শুয়ে পরল। একটু পর আবার এক অবস্থা। এবার চাচু র উঠার সাহস করল না লেপ দিয়ে মাথা ঢেকে ঘুমায় পরল। পরদিন লজ্জায় কাউক কিছু বলল না। ভাবল সবাই কি বলবে এত বড় মানুষ ভুতের ভয় পায়। সেই রাতে ও একই অবস্থা।চাচু তবু জানালা বন্ধ করতে উঠলো না। কোন রকমে লেপ মুরি দিয়ে ঘুমিয়ে পরল। মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে দেখে গায়ে লেপ নেই। দরজা জানালা সব খোলা। এই বার চাচুর অবস্থা খারাপ। না দেখার ভান করে পরে রইল বিছানায়। অদিকে ঘরে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসের নাচ শুরু হয়ে গেছে। এ ও কি কম ছিল......এবার শুরু হল মেয়েলি কণ্ঠের অট্টহাসি। আল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌ করতে করতে রাত কাটল। ভোরের আলো ফুটতেই সব থেমে গেল। চাচু তখন বাথ রুমে গিয়ে নিজের লেপ টাকে খুজে পেল বালতি ভরতি পানির মাঝে। পরে জানা যায় অই বাসার পাশের বরই গাছে এক্তা মেয়ে আত্মহত্যা করেছিল। যাহোক এক হুজুর এর মাধ্যমে বাড়ি বন্ধ করানোর পর অটা আর জালাতন করে নি।
এবার শুরু হল আমাদের বাসায় উদ্ভট কাণ্ড। আমার দাদা কে প্রায় সমই প্রতিবেশিরা বলত আপনার মেয়েরা কি রাতে ছাদে উঠে? উঠতে মানা করবেন। কিন্তু ফুপিরা ত ছাদে যায় না। দাদা ভাবত লোকে মেয়েদের বদনাম করতে চায়। তাই এটা নিয়ে মাথা ঘামাত না। এক দিন রাতে আব্বু বাড়ী ফিরতে রাত ১ টা বেজে গেল। আসার সময় দেখে ছাদে সাদা সারি পরা কেউ হাটছে। আব্বু ত রেগে গেল এত রাতে ফুপি ছাদে কি করে। বাসায় ফিরে দাদি ক বলল কি ব্যাপার তোমার মেয়ে ছাদে কেন এত রাতে? দাদি ত অবাক কারন ফুপি ঘুমাচ্ছিল। দাদি আব্বু ক ছাদে যেতে দেয়নি। পর দিনএ মসজিদের বড় হুজুর দিয়ে বারি বন্ধ করে দেয়া হয়। তিনি বল্লেন চাচার বাসায় যে মেয়ের আত্তাতা জ্বালাতন করত সেটাই নাকি শত্রুতা করে আমাদের বাসায় পাথান হয়েছে।বাড়ি বন্ধের পর আর কোনদিন কিছু দেখা যায়নি।
Share:

Pageviews