আমি তখন ক্ল্যাস সেভেনে পড়ি, গরমের দিন। স্কুলের সামনে ডাব, আচার সহ অনেক কিছু বিক্রি করছিল। দুপুরের বিরতির সময় অনেকে বিভিন্ন খেলা খেলছিল। কেউ মারবেল, কেউ ফুটবল ইত্যাদি খেলছিল। আমার কিছু বন্ধু মারবেল খেলা খেলছিল। আমি নাস্তা করে তাদের খেলা দেখছিলাম। হঠাৎ এক হুজুর আসল, দেখতে খুব সুম্দর, আমি একমাত্র উনাকে সালাম দিলাম, উনি আমার দিকে একটু তাকিয়েসালামের জবাব দিল| উনি ডাবওয়ালার সামনে দিয়ে যাবার সময় হঠাৎ দাড়ালেন আমি তখনো উনার দিখে তাকিয়ে আছি, তখন উনি আমার দিকে তাকালে আমার সাথে উনার চোখাচোখি হয়ে যায়। উনি আমাকে ইশারায় ডাব খাব কিনা জিজ্ঞাসা করেন। আমার উত্তরের অপেক্ষা না করে নিজে দেখে আমাকে একটা ডাব কেটে দিলেন। অপরিচিত কারো কাছ থেকে কিছু না নিলেও আমি উনার কাছ থেকে তা নিলাম। ডাবের পানি পান করে আমার পেট ভরে গেল। আমি ডাব নেড়ে দেখি পানি আরো আছে, তাই ডাবটা হুজুরের হাতে দিলাম, উনি আরএকজনকে পান করার জন্য ইশারা করলেন। উল্লেখ্য যে সবাই খেলা বন্ধ করে আমাদের কান্ড দেখছিল। এবাবে আমরা প্রায় ৩৫জন এই একটা ডাবের পানি খেলাম, শেষে ঐ ডাবটা ডাবওয়ালা ও আচারওয়ালাও খেল, সবশেষে খেলেন হুজুর সাহেব। উনি খাওয়ার শেষে আলহামদুলিল্লাহ্ বলে ডাবটা ফেলে দিলেন। ডাবওয়ালাকে ১০০টাকা দিলেন। যদিও সে তা নিতে চায়নি কিন্তু হুজুর সাহেব জোর করাতে নিলেন। এ ঘটনায় প্রথমে আমাদের মনে কিছু আসেনি পরে ভাবলাম একটা ডাব আমরা এত গুলো মানুষ কিভাবে খেলাম? ডাবওয়ালাতো এ ডাবটা বেচার আগে ও পরে অনেক ডাব বিক্রি করে ছিল, কেউই সেগুলোত দুজনের থেকে বেশি খেতে পারেনি।