যে ঘটনাটি বলবো
, তা আমার এক দূরসম্পর্কের মামার । তিনি আমাদের নানাবাড়ীর পিছনের বাড়ীতে
থাকেন এবং পেশায় একজন সারেং । তার নাম আলী,ঘটনাটি তার মুখেই শুনেছি । আমার
নানাবাড়ী যাওয়ার পথে গোমতী নদী পড়ে এবং এ নদীতেই দাউদকান্দি ব্রিজ অবস্থিত ।
আলী মামা নদীতে ট্রলার চালান, একবার তিনি একটা লাশ নিয়ে আসার বায়না
পেয়েছিলেন । লাশের সাথে দুজন লোক ছিলো যাদের শরীর সম্পূর্ণ সাদা কাপড় ঢাকা । চেহারা এতোটা দেখা যাচ্ছিল না । ঐ লোকেদের গ্রাম মামার গ্রামের আগে হওয়ার দরুন মামা ভাড়া নিতে রাজি হলেন কারণ মামা ঐ গ্রামের পাশ দিয়েই যাবেন । তখন ছিল সন্ধ্যার সময়, সন্ধ্যা ৬টার পর কোন ট্রলার এ পথে আসেনা । দাউদকান্দি ঘাট থেকে ঐ গ্রামে পৌছাতে প্রায় ৪৫ মিনিটের মত সময় লাগার কথা । মামা বাড়ী আসার পথে প্রতিদিন নৌকা করে আসেন । তিনি ঐ লাশ এবং দুজন লোক কে তার নৌকায় উঠালেন এবং রওনা দিলেন । আধা ঘন্টা নৌকা চললো । হঠাত্ মামা একটা ভয়ংকর ব্যাপার লক্ষ্য করলেন ! লাশটা নৌকার ভেতরে বসে আছে এবং বাকী দুজন লোকের সাথে নীচু গলায় কথাও বলছে ! ভয়ে মামা জমে গেলেন ! কিন্তু তিনি সাহস রেখে নৌকা চালাতে লাগলেন । ঐ গ্রামের ঘাট আসার পর মামা নৌকা ভিড়ালেন । তারপর কোনমতে তিনি নৌকা থেকে লাফ দিয়ে নেমে দৌড় লাগান ! তিনি বুঝতে পারলেন কিছু একটা তাকে ধরার জন্য দৌড়ে তার পিছনে আসছে ! তিনি পেছনে না তাকিয়ে প্রাণপণে দৌড়াতে লাগলেন । একটা সময় আর সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান ! জ্ঞান ফেরার পর তিনি নিজেকে তার বাড়ীতে আবিষ্কার করলেন ! বাড়ীর সবাই তার কাছে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি সব খুলে বললেন । এও জানতে চাইলেন যে , তাকে বাড়ীতে আনা হলো কিভাবে ? মামার বাবা জানালেন , তিনি (আলী মামা) বাড়ীতে না আসার কারণে তার কাকা তাকে খুঁজতে বের হয় । ঐ গ্রামের ঘাটে নৌকা খালি অবস্থায় পাওয়া যায় এবং কিছুক্ষণ খোঁজার পর তাকে একটা কবরস্থানের সামনে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে কাকা তাকে বাড়ীতে নিয়ে আসেন । আলী মামা এরপর থেকে আর সন্ধ্যাবেলা নৌকা করে আসতেন না । খোঁজ নিয়ে জানা যায় , ঐ গ্রামে কেউ মারা যায়নি এবং কোন লাশও কেউ কবর দিতে দেখেনি ।
পেয়েছিলেন । লাশের সাথে দুজন লোক ছিলো যাদের শরীর সম্পূর্ণ সাদা কাপড় ঢাকা । চেহারা এতোটা দেখা যাচ্ছিল না । ঐ লোকেদের গ্রাম মামার গ্রামের আগে হওয়ার দরুন মামা ভাড়া নিতে রাজি হলেন কারণ মামা ঐ গ্রামের পাশ দিয়েই যাবেন । তখন ছিল সন্ধ্যার সময়, সন্ধ্যা ৬টার পর কোন ট্রলার এ পথে আসেনা । দাউদকান্দি ঘাট থেকে ঐ গ্রামে পৌছাতে প্রায় ৪৫ মিনিটের মত সময় লাগার কথা । মামা বাড়ী আসার পথে প্রতিদিন নৌকা করে আসেন । তিনি ঐ লাশ এবং দুজন লোক কে তার নৌকায় উঠালেন এবং রওনা দিলেন । আধা ঘন্টা নৌকা চললো । হঠাত্ মামা একটা ভয়ংকর ব্যাপার লক্ষ্য করলেন ! লাশটা নৌকার ভেতরে বসে আছে এবং বাকী দুজন লোকের সাথে নীচু গলায় কথাও বলছে ! ভয়ে মামা জমে গেলেন ! কিন্তু তিনি সাহস রেখে নৌকা চালাতে লাগলেন । ঐ গ্রামের ঘাট আসার পর মামা নৌকা ভিড়ালেন । তারপর কোনমতে তিনি নৌকা থেকে লাফ দিয়ে নেমে দৌড় লাগান ! তিনি বুঝতে পারলেন কিছু একটা তাকে ধরার জন্য দৌড়ে তার পিছনে আসছে ! তিনি পেছনে না তাকিয়ে প্রাণপণে দৌড়াতে লাগলেন । একটা সময় আর সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান ! জ্ঞান ফেরার পর তিনি নিজেকে তার বাড়ীতে আবিষ্কার করলেন ! বাড়ীর সবাই তার কাছে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি সব খুলে বললেন । এও জানতে চাইলেন যে , তাকে বাড়ীতে আনা হলো কিভাবে ? মামার বাবা জানালেন , তিনি (আলী মামা) বাড়ীতে না আসার কারণে তার কাকা তাকে খুঁজতে বের হয় । ঐ গ্রামের ঘাটে নৌকা খালি অবস্থায় পাওয়া যায় এবং কিছুক্ষণ খোঁজার পর তাকে একটা কবরস্থানের সামনে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে কাকা তাকে বাড়ীতে নিয়ে আসেন । আলী মামা এরপর থেকে আর সন্ধ্যাবেলা নৌকা করে আসতেন না । খোঁজ নিয়ে জানা যায় , ঐ গ্রামে কেউ মারা যায়নি এবং কোন লাশও কেউ কবর দিতে দেখেনি ।