আমার দাদু খুব ব্যস্ত মানুষ । অনেক দিন পরে তিনি মাঝে মাঝে আমাদের বাড়িতে
আসতেন । এবার তিনি বাড়িতে আসলে আমরা তাকে ধরে বসলাম, হাইকোর্ট দেখতে যাবো ।
আমরা মানে আমি, টিঙ্কু, আমার ছোট বোন ও টুটুল । আর বলা বাহুল্য, আমার দাদা
হাইকোর্টের একজন মস্ত বড় উকিল ।
তো হাইকোর্ট ঘুরেটুরে এসে দাদা বললেন, ওই হাইকোর্ট হচ্ছে একটা ভৌতিক জায়গা । লোকে বলে যে যেসব লোকের ফাঁসি হয় সেখানে তাদের আত্মা নাকি ঘুরে বেড়ায় । এমনি আমার জানা একটা ঘটনা বলছি, দাদু বললেন -
" আমার তখন যুবক বয়স, সবে মাত্র জয়েন করেছি । এসেই শুনলাম ও প্রত্যক্ষ করলাম যে সন্ধ্যে হবার পর সেখানে কেউ থাকতে চায়না । আমাদের ওখানে একজন ইংরেজ মহিলা টাইপিস্ট ছিলেন । তার স্বামী এসে রোজ সন্ধায় তাকে নিয়ে যেতেন । কিন্তু একদিন মহিলাটি বিকালে ই চলে গেলেন । পরদিন সকালে এসে শুনি মহিলাটির স্বামীকে হাইকোর্টের ভেতর মৃত পাওয়া যায় । জানা গেল, উনি জানতেন না যে উনার স্ত্রী চলে গেছেন । রোজকার মত তিনি তার স্ত্রীর খোঁজে ভেতরে ঢুকেন । ততক্ষণে পুরো হাইকোর্ট ফাকা । দারোয়ানও চলে গেল । পরে আর কি ঘটেছে জানা যায়নি । তার মৃত্যুর কারণ ও জানা যায়নি । শুধু তার চোখ দুটো খোলা ছিল । "
" এরপর একদিন আমার অভিজ্ঞতার কথা বলি । ঐদিন, প্রচুর কাজ করেছি । কখন যে সন্ধে হয়ে এলো খেয়াল করিনি । সবাই চলে গেছে । আমিও নেমে এলাম । হঠাত্ মনে পড়লো একটা জরুরী ফাইল রেখে এসেছি । তাই আমাকে ফিরতেই হলো । ভেতরে অদ্ভুত নিঃশব্দ ।
কিছুদুর উঠে থামলাম, জুতোর খট খট শব্দ । ভয়ে পেছনে তাকাবার শক্তি লোপ পেয়েছে । তবুও যুবক বয়স, সাহস হারালাম না । তাড়াতাড়ি ফাইল নিয়ে নামতে থাকলাম । পেছনে জুতোর শব্দ ও ছুটছে । থামছি, শব্দ ও থামছে ।
হঠাত্ মাথায় বিদুত্ খেলে গেল । দাড়িয়ে একটানে জুতো খুলে মোজা পরে হাটতে লাগলাম । পেছনে যে দৌড়ে আসছে তার আসা থেমে গেল । আমি তখন দর দর করে ঘামছি । তবুও জুতো পরে আবার শান্ত মনে মনে হাইকোর্ট থেকে বেরিয়ে এলাম । "
আমরা চেঁচিয়ে উঠলাম, যে তোমার পিছু নিলো সে তোমায় জ্যান্ত বেরিয়ে আসতে দিল ?
দাদু হেসে বললো, কেউ আমার পিছু নেয়নি । আসলে তোমরা তো দেখেছো ভেতরে ছাদগুলো কেমন মাটি থেকে কত উপরে । হলগুলোও বিশাল বিশাল । সবই তখন ফাঁকা ছিলো । তাই চলার সময় অমন শব্দের প্রতিধ্বনি জাগায় । মনে হয়ে পেছনে কেউ চলছে । তারপর অত নিস্তব্ধতা, বড় বড় মুর্তি, অল্প ফিকে আলো সব মিশে ভৌতিক পরিবেশে মন দুর্বল হয়ে পড়ে । আমি যে সিড়ি থেকে ঐ অবস্থায় মাথা ঘুরে পড়ে যাইনি তাই ই আল্লাহর কাছে শোকর !!
" কিন্তু ওই সাহেব যে মারা গেলেন ? "
দাদু বললেন, " ঠিক আগে যা বললাম ঐ অবস্থা । তিনি ঔ পরিবেশে নির্ঘাত হার্টফেল করেছিলেন । "
তো হাইকোর্ট ঘুরেটুরে এসে দাদা বললেন, ওই হাইকোর্ট হচ্ছে একটা ভৌতিক জায়গা । লোকে বলে যে যেসব লোকের ফাঁসি হয় সেখানে তাদের আত্মা নাকি ঘুরে বেড়ায় । এমনি আমার জানা একটা ঘটনা বলছি, দাদু বললেন -
" আমার তখন যুবক বয়স, সবে মাত্র জয়েন করেছি । এসেই শুনলাম ও প্রত্যক্ষ করলাম যে সন্ধ্যে হবার পর সেখানে কেউ থাকতে চায়না । আমাদের ওখানে একজন ইংরেজ মহিলা টাইপিস্ট ছিলেন । তার স্বামী এসে রোজ সন্ধায় তাকে নিয়ে যেতেন । কিন্তু একদিন মহিলাটি বিকালে ই চলে গেলেন । পরদিন সকালে এসে শুনি মহিলাটির স্বামীকে হাইকোর্টের ভেতর মৃত পাওয়া যায় । জানা গেল, উনি জানতেন না যে উনার স্ত্রী চলে গেছেন । রোজকার মত তিনি তার স্ত্রীর খোঁজে ভেতরে ঢুকেন । ততক্ষণে পুরো হাইকোর্ট ফাকা । দারোয়ানও চলে গেল । পরে আর কি ঘটেছে জানা যায়নি । তার মৃত্যুর কারণ ও জানা যায়নি । শুধু তার চোখ দুটো খোলা ছিল । "
" এরপর একদিন আমার অভিজ্ঞতার কথা বলি । ঐদিন, প্রচুর কাজ করেছি । কখন যে সন্ধে হয়ে এলো খেয়াল করিনি । সবাই চলে গেছে । আমিও নেমে এলাম । হঠাত্ মনে পড়লো একটা জরুরী ফাইল রেখে এসেছি । তাই আমাকে ফিরতেই হলো । ভেতরে অদ্ভুত নিঃশব্দ ।
কিছুদুর উঠে থামলাম, জুতোর খট খট শব্দ । ভয়ে পেছনে তাকাবার শক্তি লোপ পেয়েছে । তবুও যুবক বয়স, সাহস হারালাম না । তাড়াতাড়ি ফাইল নিয়ে নামতে থাকলাম । পেছনে জুতোর শব্দ ও ছুটছে । থামছি, শব্দ ও থামছে ।
হঠাত্ মাথায় বিদুত্ খেলে গেল । দাড়িয়ে একটানে জুতো খুলে মোজা পরে হাটতে লাগলাম । পেছনে যে দৌড়ে আসছে তার আসা থেমে গেল । আমি তখন দর দর করে ঘামছি । তবুও জুতো পরে আবার শান্ত মনে মনে হাইকোর্ট থেকে বেরিয়ে এলাম । "
আমরা চেঁচিয়ে উঠলাম, যে তোমার পিছু নিলো সে তোমায় জ্যান্ত বেরিয়ে আসতে দিল ?
দাদু হেসে বললো, কেউ আমার পিছু নেয়নি । আসলে তোমরা তো দেখেছো ভেতরে ছাদগুলো কেমন মাটি থেকে কত উপরে । হলগুলোও বিশাল বিশাল । সবই তখন ফাঁকা ছিলো । তাই চলার সময় অমন শব্দের প্রতিধ্বনি জাগায় । মনে হয়ে পেছনে কেউ চলছে । তারপর অত নিস্তব্ধতা, বড় বড় মুর্তি, অল্প ফিকে আলো সব মিশে ভৌতিক পরিবেশে মন দুর্বল হয়ে পড়ে । আমি যে সিড়ি থেকে ঐ অবস্থায় মাথা ঘুরে পড়ে যাইনি তাই ই আল্লাহর কাছে শোকর !!
" কিন্তু ওই সাহেব যে মারা গেলেন ? "
দাদু বললেন, " ঠিক আগে যা বললাম ঐ অবস্থা । তিনি ঔ পরিবেশে নির্ঘাত হার্টফেল করেছিলেন । "